হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মাওলানা জয়নুল আবেদীন জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আতাবাতে মুকাদ্দাসার তাবাররুকাত—হযরত আবুল ফজল আল-আব্বাস (আ.)-এর গম্বুজের আলম, ইমাম রেজা (আ.)-এর যরিহের প্রতীক এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর আলম—উদ্বোধন ও জিয়ারতের সুযোগ প্রদান করা হবে।
কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে মাওলানা জয়নুল আবেদীন বলেন, সীমান্তবর্তী এসব অঞ্চলে বসবাসকারী শিয়া মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জীবনযাপন করে আসছেন।
দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শিক্ষার অভাব এবং পর্যাপ্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আলেমদের অনুপস্থিতির কারণে এ অঞ্চলের অনেক মানুষ ধীরে ধীরে ধর্মীয় চর্চা ও সচেতনতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধের ঘাটতি স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই বাস্তবতা থেকে উত্তরণের জন্য একটি কার্যকর ও হৃদয়স্পর্শী উদ্যোগ হিসেবে আতাবাতে মুকাদ্দাসার তাবাররুকাত জিয়ারতের আয়োজন করা হয়েছে।
যারা জীবনে কখনো কারবালা, নাজাফ, কাজেমাইন বা মাশহাদে যাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি, তাদের জন্য এই তাবাররুকাত জিয়ারত মানসিক ও আত্মিকভাবে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করবে। এতে অংশগ্রহণকারীরা আহলে বাইত (আ.)-এর সাথে গভীর আত্মিক সংযোগ স্থাপনের সুযোগ পাবেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাবাররুকাতসমূহের মর্যাদা ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি আহলে বাইত (আ.)-এর জীবনাদর্শ, ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও নৈতিকতার সাথে নিজেদের আরও দৃঢ়ভাবে সম্পৃক্ত করতে পারে।
আয়োজকদের আশা, এই কর্মসূচি সীমান্ত অঞ্চলের বঞ্চিত শিয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে এবং ধর্মীয় সচেতনতা ও ঐক্য সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে এটি আহলে বাইত (আ.)-এর মক্তবের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আনুগত্য আরও গভীর করবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।
আপনার কমেন্ট